এবার সেই দুই শর্তে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। শর্ত অনুযায়ী খালেদা জিয়া বিদেশে যেতে পারবেন না এবং তাকে দেশে থেকেই চিকিৎসা নিতে হবে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গত ১২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ আবু সাঈদ মোল্লা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে যে, ‘সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে দাখিলকৃত আবেদন এবং আইন মন্ত্রণালয়ের আইনগত মতামতের আলোকে ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৪০১ (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে হাইকোর্ট বিভাগের ক্রিমিনাল আপিল নং-১৬৭৬ /১৮ (বিশেষ আদালত নং-৫, ঢাকা এর বিশেষ মামলা নং-১৭/২০১৭ থেকে উদ্ভূত) এবং বিশেষ আদালত নং-৫, ঢাকা এর বিশেষ মামলা নং-১৮/ ২০১৭-এ প্রদত্ত বেগম খালেদা জিয়া’র দণ্ডাদেশ শর্ত সাপেক্ষে ২৫-০৯-২০২৩ খ্রি. তারিখ হতে পরবর্তী ০৬ (ছয়) মাসের জন্য নির্দেশক্রমে স্থগিত করা হলো। শর্তগুলো হচ্ছে, তিনি ঢাকাস্থ নিজ বাসায় থেকে তার চিকিৎসা গ্রহণ করবেন; এবং উক্ত সময়ে তিনি দেশের বাইরে গমন করতে পারবেন না।’
এদিকে করোনা মহামারির ভেতর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করার পর কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। এর পর দফায় দফায় তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কারাদণ্ড স্থগিত রাখার মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ঢাকার একটি বিশেষ আদালতে ৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার পর ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা।
পরের বছর ২০২১ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট এই মামলায় তার আপিল খারিজ করে সাজার মেয়াদ বাড়িয়ে ১০ বছর করে দেন। এর আগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর ঢাকার আরেকটি বিশেষ আদালত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন।